শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

যমুনা সেতুতে দুর্ঘটনায় পাঁচ গাড়ি বিকল, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

যমুনা সেতুর ওপর একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার (১৪ জুন) সকাল পর্যন্ত সেতুর পূর্ব প্রান্তের টোল প্লাজা থেকে পুংলি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে এ যানজটের চিত্র দেখা যায়।

সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যমুনা সেতুর ওপর একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় চার থেকে পাঁচটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সেতুর উভয় প্রান্তে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে একাধিক দফায় টোল আদায় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরাতে সময় লেগে যায়।

দীর্ঘসময় ধরে চলা এ পরিস্থিতির কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত সেতুর পূর্বাংশের টোল প্লাজা, গোলচত্বর, ইব্রাহীমাবাদ ও জোকারচর এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। যানজটে আটকে পড়েন ঢাকাগামী হাজারো যাত্রী, যারা গরম ও দীর্ঘ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তির শিকার হন।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন,

“রাতে সেতুর ওপর পরপর দুর্ঘটনায় পাঁচটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। সেগুলো অপসারণ করতে সময় লাগে। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু সময় টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সকালে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।”

এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন,

“দুর্ঘটনার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।”

যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ বলেন,

“পিকআপ ও ট্রাকের সংঘর্ষ থেকে এই সংকটের সূচনা হয়। যানজট নিরসনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।”

এদিকে, যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, মহাসড়কে দ্রুত রেসপন্স ইউনিট না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সকাল ৮টার পর থেকে যান চলাচল কিছুটা গতি পেলেও, এখনও অনেক এলাকায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন