বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ক্ষতিগ্রস্তদের জমিতে কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট! এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে দুদকের অভিযান

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান পরিচালনা করেছে।

আজ (রোববার) বনানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট’ এর আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য মোট ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ১২টি ভবনে ১,৩৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে অভিযানের সময় দুদক জানতে পারে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও সচিবসহ অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য একই প্রকল্পের ৪০ একরের মধ্য থেকে ১.১৫ একর জায়গায় ‘পদ্মা’, ‘মেঘনা’, ‘যমুনা’ ও ‘কর্ণফুলী’ নামে চারটি ভবনে ২৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণের কোনো নীতিমালা, অনুমোদন বা ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসনের যোগ্যতা কর্মকর্তারা পূরণ করেছেন কিনা—তা নিয়ে রয়েছে গুরুতর প্রশ্ন।

প্রাথমিকভাবে অনৈতিকতা প্রতীয়মান

অভিযানকালে সেতু ভবন থেকে উক্ত প্রকল্পের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পুরো প্রক্রিয়াটি ‘নৈতিকতা ও বিধিবিধানের বাইরে গিয়ে’ পরিচালিত হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত ও নথিপত্র যাচাই করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এবং প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনা এমন এক সময়ে প্রকাশ্যে এলো, যখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অধিগ্রহণ নিয়ে ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছেন। সেখানে উচ্চপদস্থদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য সুবিধা সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।