বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ একটি পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

গত ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে চুনতি বনবিভাগ এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে এ অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান ও এসআই (নি.) মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

পুলিশ জানায়, ওইদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ (নং-চট্ট মেট্রো-১১-৮৮৫৩) চেকপোস্টে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো:

১. আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম, পিতা-নুরুল আলম, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

২. ছাদেকুর রহমান, পিতা-মৃত জেবল হোসেন, ফুলতলা, চকরিয়া পৌরসভা

৩. কামাল, পিতা-মো. মাসুক, চকরিয়া বাজারপাড়া, চকরিয়া পৌরসভা

৪. কেফায়েত হোসেন, পিতা-মৃত আলমগীর ফারুক, বড় ভেওলা, চকরিয়া, কক্সবাজার

আটককৃতদের মধ্যে জামাই কাশেমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের একাধিক থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও চুরির এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। কামালের বিরুদ্ধেও অস্ত্র ও চুরির মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতারদের হেফাজত থেকে ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ১টি রামদা, টিপছুরি, ছুরি, শাবল, কাঁচি, দা, টর্চলাইট, ৪টি মোবাইল, একটি হার্ডডিস্ক, ডাকাতিতে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পটিয়া থানা কর্তৃক একটি মোবাইল, মানকি ক্যাপ ও কালো ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছেন যে, তারা পটিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায় ডাকাতি করে মালামালসহ কক্সবাজারে পালিয়ে যাচ্ছিল।

তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ডাকাতির মামলা (মামলা নং-২৫, তারিখ ২০/০৬/২০২৫, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ দণ্ডবিধি) এবং লোহাগাড়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা (মামলা নং-১৩, তারিখ ১৯/০৬/২০২৫, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ১৯(এ)/১৯(এফ)) রুজু করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।