শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পুতিনের শান্তির আহ্বান: ১৫ মে রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৫ মে তারিখে ইউক্রেনকে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় নেতারা যখন একটি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানান, ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা দেন পুতিন। শনিবার রাতে ক্রেমলিন থেকে বিরল এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা একটি দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য গঠনমূলক আলোচনা চাই।”

ইউক্রেনীয় রাজধানী কিয়েভে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির ফ্রিডরিখ মের্জ এবং পোল্যান্ডের ডোনাল্ড টাস্ক — এই চার নেতার একত্রিত উপস্থিতিতে ইউক্রেনকে সমর্থনের বার্তা দেওয়া হয়। তারা রাশিয়াকে সোমবার থেকে একটি নিঃশর্ত অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান এবং হুঁশিয়ারি দেন যে, তা না মানলে রাশিয়ার জ্বালানি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর “নতুন ও ব্যাপক” নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

সাংবাদিকদের সামনে পুতিন বলেন, “তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আলোচনাটি হওয়া উচিত, যেমন আগেও হয়েছে।” তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে রবিবার এ বিষয়ে কথা বলবেন।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইউরোপীয় নেতাদের চাপকে “অকার্যকর” আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কোনো ফল আসবে না।”

ইউক্রেন এখনো এই আলোচনার প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্পষ্ট করেছেন, তারা অন্তত ৩০ দিনের একটি প্রকৃত যুদ্ধবিরতি চান এবং রাশিয়ার একতরফা ও সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতিকে “নাটকীয় প্রদর্শনী” বলে অভিহিত করেছেন।

পুতিন আরও অভিযোগ করেন, ইউক্রেন রাশিয়ার পূর্বের একাধিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। গত মাসের “ইস্টার ট্রুস” এবং এপ্রিলের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ স্মরণ দিবসকে ঘিরে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। যদিও এ সময়ও দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।

তিনি বলেন, “সব কিছুর পরেও, আমরা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি — তারা যেন পূর্বশর্ত ছাড়াই আবার সরাসরি আলোচনা শুরু করে।”

উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি শান্তি আলোচনা হয়েছিল ২০২২ সালে, পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পরপরই। নতুন করে আলোচনার এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করলো।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন