শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পিবিআই রাজশাহীর চৌকস তদন্তে তিন বছর পর ক্লুলেস আতেকা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

তিন বছর ধরে ক্লুলেস অবস্থায় থাকা আলোচিত আতেকা বেগম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), রাজশাহী। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত শ্রী উত্তম কুমার সরকার (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলাটি ২০২১ সালের ১৪ জুলাই পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা নম্বর ১৮, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী দায়ের করেন নিহত আতেকার পুত্র মোঃ আতিকুর রহমান। প্রথমে মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআই, রাজশাহীর ওপর ন্যস্ত করে।

পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মোস্তফা কামাল-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, ডিআইজি মোঃ সুজায়েত ইসলাম এবং ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোঃ মনিরুল ইসলাম-এর দিকনির্দেশনায়, তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ মতিউর রহমান ও তার নেতৃত্বাধীন একটি চৌকস দল দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে।

হত্যার পেছনের কাহিনী

তদন্তে উঠে আসে, ২০২১ সালের ১৩ জুলাই বিকেলে পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগরপাড়া এলাকার মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে আতেকা বেগম নিহত হন। অভিযুক্ত উত্তম কুমার সরকার তার জমির উপর দিয়ে ট্রলি চালানোর সময় আতেকা বেগম তাকে গালিগালাজ করেন এবং আক্রমণের চেষ্টা করেন। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে উত্তম পূর্ব পরিকল্পনা করে আতেকাকে হত্যা করেন।

ঘটনার দিন বিকেলে তিনি আতেকাকে একা পেয়ে মাথায় বাঁশের মুগর দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে তার নিকট থাকা হাঁসুয়া দিয়ে গলায় উপর্যুপরি কোপ দেন। হত্যাকাণ্ডের পর আসামি এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে যান এবং পরে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যান।

তিন বছর পর, আসামি দেশে ফিরে এলে ১৩ মে ২০২৫ তারিখ দুপুরে রাজশাহীর মোল্লাপাড়া গ্রামের মদিনা ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৪ মে আদালতে হাজির করলে উত্তম কুমার সরকার ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলার অগ্রগতি

  • তদন্ত কর্মকর্তা: মোঃ মতিউর রহমান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ), মোবাইল: ০১৭২৬-৮৮১৩০০
  • তদারকি কর্মকর্তা: মোঃ মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), পিবিআই রাজশাহী, ফোন: ০২৫৮৮৮৬২৫৭২

পিবিআই জানিয়েছে, এই মামলার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন