শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, পিবিআইয়ের হাতে তিন আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম | ১২ অক্টোবর ২০২৫:

রাঙ্গামাটির চন্দ্রঘোনা উপজেলার পশ্চিম কোদালা গ্রামে কৃষক দিদার আলম (২৮) হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম জেলা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।

ঘটনার পটভূমি

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত দিদার আলমের স্ত্রী কহিনুর আক্তার (২৭) ও তার বন্ধু আব্দুল খালেক (৩০)-এর মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে দিদার আলম তাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। পরবর্তীতে কহিনুর তার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং এতে যুক্ত হয় আরেক প্রতিবেশী মো. হামজা ওরফে হানজালা (২৬) ও মো. সেলিম (২৮)।

গত ৩০ জুন রাতে কহিনুর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দুধ খাইয়ে স্বামীকে অচেতন করে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে রাতেই হানজালা ও সেলিম বাড়িতে গিয়ে দিদার আলমের মরদেহ প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে পাশের কোদালা খালে ফেলে দেয়।

তদন্ত ও গ্রেফতার

মামলাটি প্রথমে চন্দ্রঘোনা থানায় দায়ের হলেও পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে দেওয়া হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মো. রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. রুহুল কবীর খানের তত্ত্বাবধানে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৪ অক্টোবর গাজীপুর থেকে কহিনুর আক্তার ও খালেককে গ্রেফতার করেন।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কহিনুর হত্যাকাণ্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তার তথ্য অনুযায়ী, ১১ অক্টোবর রাঙ্গুনিয়ার পশ্চিম কোদালা গ্রাম থেকে হানজালা ও সেলিমকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

পিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার পেছনের মূল কারণ ও ঘটনার পুরো চিত্র উদ্ঘাটিত হয়েছে। নিহত দিদার আলমের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন