শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি : মির্জা ফখরুল

“আমরা একসঙ্গে যেসব দল দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি, তাদের নিয়ে সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি,” মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেটি ২০১৬ সালেই বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ‘ভিশন ২০২৬’-এ বলেছিলেন। এরপর ২০২২ সালে আমরা একসঙ্গে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ২৭ দফা প্রস্তাব করেছিলাম, যা পরে ৩১ দফায় রূপান্তরিত হয়। সুতরাং, সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই তুলেছিলাম।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এখন অত্যন্ত সুচতুরভাবে প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি নাকি সংস্কার মানছে না, এজন্যই সংস্কার হচ্ছে না। মিডিয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রচার চালানো হচ্ছে। আমি তাদের আন্তরিকভাবে বলতে চাই, আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব ভালো করে দেখে নিন। আমাদের টিম ঐকমত্য কমিশনের কাছে গিয়ে কী বলছে, সেই মতামতগুলো জানা দরকার। না হলে ভুল বোঝাবুঝি হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে। যেমন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরে সীমিত করার বিষয়ে একমত হয়েছি। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক খাতে সংস্কারের কথাও বলেছি। এগুলো বিচার করতে হবে সঠিকভাবে। শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করলে, সেটি সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে না।”

তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমরা তরুণদেরকে ডাক দিয়েছি সভা-সমাবেশের মাধ্যমে। আমাদের কর্মীরা নদী সাঁতরে সমাবেশে অংশ নিয়েছে, গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলেছি— ‘কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাকিছে ভবিষ্যৎ।’ কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আনার ক্ষমতা তরুণদেরই আছে। সেই পরিবর্তন তারা এনেছে। এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

এর আগে বিকেল ৩টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট এবং গত ১৭ বছরে নিহত ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং জুলাই আন্দোলন নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। সভায় গুম হওয়া পরিবারের সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন