শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় উত্তরায় বারবার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে শহীদদের ব্যানার

রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে স্থাপিত ব্যানার ও বিলবোর্ড বারবার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই দোষীরা আরও সাহস পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’।

সংগঠনটি জানিয়েছে, গতকাল (৩০ জুন) গভীর রাতে উত্তরায় শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এর আগে জুলাই মাসের শুরুতে শহীদদের তালিকা বিলবোর্ড আকারে প্রকাশ করা হলে সেটিও রাতের অন্ধকারে ছিঁড়ে ফেলা হয়। সংগঠনের নেতারা বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজসহ সন্ত্রাসীদের পরিচয় প্রশাসনকে দিয়েছি, তবুও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশাসনের এই ব্যর্থতার কারণে তারা আরও সাহস পেয়ে যাচ্ছে।”

‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ আরও জানায়, “তোরা একটা ছিঁড়বি, আমরা দশটা বানাবো।”

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত উত্তরা এলাকায় ৯২ জন শহীদ হন। শহীদদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, ৫ জন গাড়ি বা রিকশাচালক, ২ জন মসজিদের ইমাম, ১ জন চিকিৎসক, ১১ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের এবং অন্যান্য পেশাজীবী ১৯ জন।

শহীদদের মৃত্যুর দিনভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ১৮ জুলাই শহীদ হন ২০ জন, ১৯ জুলাই ২২ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন, ৫ আগস্ট ৪২ জন এবং ৭ আগস্ট শহীদ হন ১ জন। বয়সভিত্তিক হিসেবে ২১-৩০ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ২৬ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সী ১৮ জন, ১০-২০ বছর বয়সী ১৭ জন, ৪১-৫০ বছর বয়সী ১১ জন, ৫১-৬০ বছর বয়সী ২ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১০ বছরের নিচে শহীদ রয়েছেন একজন করে।

উত্তরাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের “পাওয়ার হাউজ” হিসেবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, “ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা প্রশাসন কেউ উত্তরার ছাত্র-জনতাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। গুলির মুখেও তারা বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল।”

বক্তারা দ্রুত শহীদদের স্মৃতিকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন