শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা

. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচনী প্রস্তুতির গুঞ্জন জোরাল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পর এই আলোচনা আরও তীব্র হয়।

লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের মধ‍্যে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ছবি। সংগৃহীত

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে তারেক রহমান প্রায় সকল মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলাতেও তিনি দণ্ডমুক্ত হয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট করা হয়েছে, তার দেশে ফেরার পথে এখন আর কোনো আইনি বাধা নেই।

তবে এতদসত্ত্বেও প্রায় সতের বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি নেতা কবে দেশে ফিরবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তিনি দেশে ফিরে দলের সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন।

তার উপদেষ্টা মাহদী আমিন জানান, “তারেক রহমান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে দেশে ফিরবেন এবং সময় নির্ধারণ করবেন নিজেই। তিনি দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।” ইতোমধ্যে ঢাকায় তার জন্য একটি বাসার প্রস্তুতির খবরও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

তবে তার দেশে না ফেরার পেছনে নিরাপত্তার বিষয়টিকে এখনো প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, “আইনি বাধা না থাকলেও একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখনো সেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, “দেশে এখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শঙ্কা রয়ে গেছে। এই বাস্তবতায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি তার ফেরা বিলম্বিত করছে। তবে নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত হলে এবং পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই দৃশ্যমান হবে।”

এদিকে লন্ডনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এসব আলোচনায় প্রার্থী নির্বাচন, কৌশল নির্ধারণ ও নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় মহলে ধারণা— রাজনৈতিক নিরাপত্তা ও নির্বাচনী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নির্ভর করে তারেক রহমান দেশে ফিরে সরাসরি দলের নেতৃত্ব দেবেন। অনেকে মনে করছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হলে তিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন