ঢাবির নিরাপত্তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স, চলবে তল্লাশি অভিযান
- নিজস্ব সংবাদদাতা
- জুন ১৮, ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন এবং ছয়টি প্রধান প্রবেশদ্বারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারে গৃহীত হয়েছে একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
নিরাপত্তা জোরদারে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে—তল্লাশি কার্যক্রমে প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি আনসার ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণ, ভবঘুরে উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান, পুনর্বাসনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া, ক্যাম্পাসের চারপাশে সেনা টহল বৃদ্ধিতে সেনাবাহিনীকে চিঠি প্রদান, ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিক সভা আয়োজন, সিসিটিভি ক্যামেরা সংখ্যা বৃদ্ধি ও নষ্ট ক্যামেরা মেরামত, এবং রাতের আলোকসজ্জা উন্নয়ন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে পুলিশের তৎপরতাও আরও বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া, সাম্য ও তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের বিচারে যথাক্রমে আইন মন্ত্রণালয় ও পিবিআইকে চিঠি পাঠানো হবে। সাম্প্রতিক ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এনএসআই ও ডিজিএফআই’র মাঠপর্যায়ের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, গৃহীত পদক্ষেপসমূহ দ্রুত কার্যকর করতে তারা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছেন। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট থাকবে বলেও আশ্বাস দেন উপাচার্য।