শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে ফরহাদ মজহারের প্রতিক্রিয়া: ব্যর্থতা ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত

চিন্তক ফরহাদ মজহারের মতে, প্রধান উপদেষ্টার উচিত জনগণের ঐতিহাসিক অভিপ্রায়কে সম্মান জানিয়ে নেতৃত্ব অব্যাহত রাখা

ঢাকা, ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কবি ও রাজনৈতিক চিন্তক ফরহাদ মজহার। শুক্রবার সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ড. ইউনূস পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে ভুল করেছেন। পদত্যাগ করা হলে তা হবে তাঁর ব্যর্থতা এবং তাঁর নিজের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

ফরহাদ মজহারের মতে, ড. ইউনূস কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতিনিধি নন। তিনি জনগণের ঐতিহাসিক অভিপ্রায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এ অবস্থায় তাঁর উচিত হবে জনগণের ওপর আস্থা রাখা এবং দলীয় কিংবা গোষ্ঠীগত চাপে বিভ্রান্ত না হওয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোনো সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং একটি রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ড. ইউনূসকে নেতৃত্বে এনেছে। ফলে তাঁর কাঁধে রয়েছে কয়েকটি মৌলিক দায়িত্ব—খুনিদের বিচার সম্পন্ন করা, নতুন সংবিধান প্রণয়নের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করা এবং বৈশ্বিক করপোরেট দখলদারির বিরুদ্ধে গণবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি গঠন ও বাস্তবায়ন করা।

বিজ্ঞাপন

ফরহাদ মজহার তাঁর পোস্টে জোর দিয়ে বলেন, দিল্লি ও মিয়ানমারসহ আঞ্চলিক শত্রু রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে লড়ার মতো শক্তিশালী ও সাহসী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়েও বাংলাদেশকেই উদ্যোগী হতে হবে।

তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সেনাসদস্যরাও এই দেশেরই সন্তান, যারা জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছার অংশ।

নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই দ্রুত হতে হবে। তবে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ফরহাদ মজহার বলেন, সেনাপ্রধান তাঁর এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পাঁয়তারা বলেই প্রতীয়মান হয়। তিনি সতর্ক করেন, যদি দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তবে তার দায় সেনাপ্রধানকে নিতে হবে।

শেষে ফরহাদ মজহার বলেন, এখন সময় দায়িত্বশীল আচরণের। সকল পক্ষের উচিত হবে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। জনগণ চায় প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন