শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে আগুন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাদারীপুরে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা এস.এম. শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি তামিম হাওলাদারের মাদারীপুরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে তামিম হাওলাদারের পারিবারিক বাড়ির দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই সাম্য হত্যার ঘটনায় তামিমসহ তিনজনের গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে উত্তেজিত জনতা তামিমের বাড়িতে জড়ো হয়ে প্রথমে হামলা চালায় এবং পরে সন্ধ্যার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দুটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কেউ আহত হয়নি, তবে পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”

জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জানান, “উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়েছে। সেখানে ছাত্রদলের কেউ ছিল কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

ঘটনার পরদিন তার ভাই এস এ এম শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার তিনজনই মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও বিভিন্ন এলাকার। এদের মধ্যে তামিম হাওলাদার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে, পলাশ সরদার একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্রাট মল্লিক ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ টহল জোরদার করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন