শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ দিবস উদযাপন, বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ রবিবার (১১ মে) বিকালে জাপানের ওসাকা কানসাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫–এর “বাংলাদেশ দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই সমাজ গড়ে তুলতে হবে।” তিনি বিশ্ব ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ অন্বেষণ করে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন দর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। কাঠের কাঠামোয় নির্মিত এই প্যাভিলিয়ন শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের প্রতীক।” এটি ভবিষ্যৎ সমাজের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অনন্য এক উদাহরণ। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে। তরুণ জনসংখ্যা ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ এখন ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজার এবং আসিয়ান দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টের তরুণদের দ্বারা সংগঠিত বিপ্লবকে “নতুন সম্ভাবনার দ্বার” বলে উল্লেখ করে বলেন, “উদার বিনিয়োগ নীতিমালার ফলে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট, সিরামিকসহ বিভিন্ন খাতে উন্নত দেশগুলো বিনিয়োগ করতে পারে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (METI) প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, “১৯৭২ সাল থেকে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও জাপানের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও জাপানের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি।

পরে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে পরিবেশিত হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘সিম্ফনি অব বাংলাদেশ’। শেষে উভয় দেশের প্রতিনিধি দল জাপান ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিজ্ঞাপন:


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন