শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

‘পাটের চাহিদা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে, দায় আমাদেরই’ — উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন

বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, এক সময় দেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রাণ ছিল পাট, কিন্তু এখন এর চাহিদা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। আর এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে “টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার–২০২৫’-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসি’র মাধ্যমে এক হাজার ছয় জন উদ্যোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে বাজারে পাটের নতুন সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন সুযোগ আছে, তেমনি বড় বাধাও রয়েছে। পাটের চাহিদা কমার জন্য আমরাই দায়ী। যতদিন না বাস্তবতার আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারবো, ততদিন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো ও পিছিয়ে থাকবো।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবি’র সহসভাপতি ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটি’র আহ্বায়ক ইঞ্জি. আহসানুল করিম কায়সার এবং আইইবি’র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মহিউদ্দীন আহমেদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুটেক্সের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার। চাইলে এর বিকল্প হিসেবে পাটকে ব্যবহার করা সম্ভব। পাট পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। কিন্তু এক সময়ের শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন এই ফাইবার আজ আমাদের অবহেলার কারণে গুরুত্ব হারিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “পাট যেহেতু একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব ফাইবার, এটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা ও উন্নয়ন প্রয়োজন। শুধু চট বা শপিং ব্যাগ নয়, পাটের ব্যবহার পোশাক শিল্প, হোম টেক্সটাইল এবং নতুন শিল্পখাতেও বাড়ানো জরুরি।” তিনি আরও জানান, বুটেক্সে শিগগিরই “জুট ফাইবার গবেষণা কেন্দ্র” স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন