শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে আনসার বাহিনীকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা হচ্ছে – মহাপরিচালক

ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার, এপিসি ও পিসি সদস্যদের সতেজকরণ প্রশিক্ষণ (৫ম ধাপ), ২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সদস্যরা দক্ষতা অর্জন করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

মহাপরিচালক বলেন—

“আনসার বাহিনীর শক্তি শুধু সংখ্যায় নয়, বরং সেবার গুণগত মান উন্নয়নেই নিহিত। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে এ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বাহিনী ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, আনসার বাহিনী চারটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত— ভিডিপি/টিডিপি, উপজেলা/থানা আনসার, অঙ্গীভূত আনসার এবং ব্যাটালিয়ন আনসার। প্রতিটি ইউনিট ভিন্ন দায়িত্ব পালন করলেও দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রত্যেকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেপিআই নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক উন্নয়ন ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তারা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।

সতেজকরণ প্রশিক্ষণের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন—

“রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। অদক্ষ কেউ এ বাহিনীতে টিকে থাকতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আনসার বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা হবে।”

চলতি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলে। এতে অংশ নেন ১,১৬০ জন সদস্য, যার মধ্যে ১,১৩৬ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। প্রশিক্ষণে মৌলিক শরীরচর্চা, অস্ত্র ও সাধারণ ড্রিল, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সচেতনতা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, নারী ও শিশুর সুরক্ষা এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।

অতীতের অবদান স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, “০৫ আগস্ট সারা দেশে যখন নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন আনসার বাহিনী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আগামী দিনেও জনগণের আস্থা রক্ষায় বাহিনী সুপ্রশিক্ষিত হয়ে কাজ করে যাবে।”

অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়—তরিকুল ইসলাম, মো. বারিক এবং মাইনুল ইসলাম।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন