শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পদ্মা সেতু সারচার্জ বন্ধ না হওয়া নিয়ে হাইকোর্টের রুল

আপনি পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ব্যয়ের ওপর আরোপিত ১ শতাংশ সারচার্জ আদায় কেন বন্ধ হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) দাখিল করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন। এর আগে গত ১০ জুলাই সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

এর আগে গত ৪ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সেতু কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে নোটিশ পাঠায় সিসিএস। সাত দিনের মধ্যে মোবাইল ফোনে সারচার্জ আদায় বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

রিটে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সরকার মোবাইল ফোন খরচের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ এরই মধ্যে ভোক্তাদের কাছ থেকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও সারচার্জ কর্তন বন্ধ হয়নি। এতে ভোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকার ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ প্রণয়ন করে। সেই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ থেকে সারচার্জ আদায় শুরু হয়। তবে আইনের ৪ নম্বর ধারায় সারচার্জ আদায়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করার কথা থাকলেও প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে নয় বছর ধরে সারচার্জ আদায় অব্যাহত থাকলেও বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা আইনবিরোধী।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন সিসিএস বলছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এ সারচার্জ অব্যাহত রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ কারণে সংস্থাটি আদালতের শরণাপন্ন হয়।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন