শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত ১৯, আহত ১৬৪

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৪ জন। হতাহতদের অধিকাংশই স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বলে জানা যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক তৎপরতা

দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং র‍্যাব যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের দ্রুত বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও অন্যান্য নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঘটনাস্থলে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থদের উপস্থিতি

বিমান বাহিনী প্রধান বর্তমানে সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকলেও সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এবং বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেনাবাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটি গঠন

বিমান দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইতোমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির প্রকৃতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণে এই তদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শোক ও সহানুভূতি

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত। তারা নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়ে জানান, আহতদের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে বাহিনী সর্বাত্মক তৎপর রয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন