শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ন্যাশনাল ফরেস্ট ইনভেন্টরি এবং ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি — সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ কেবল পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সকল অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত “ওয়ার্কশপ ফর সেকেন্ড সাইকেল অব দ্য ন্যাশনাল ফরেস্ট ইনভেন্টরি অব বাংলাদেশ এন্ড ন্যাশনাল ভ্যালিডেশন এন্ড ওয়ার্কশপ অন দ্য জেনারেশন অব দ্য ল্যান্ড কাভার এন্ড ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপ এন্ড ডেভেলপিং ইন্টিগ্রেটেড কোলাবোরেটিভ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বনকে কেবল কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী এবং জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশনও জরুরি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনভিত্তিক নীতি প্রণয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার এবং ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সম্পর্কিত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা দেশের টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর করবে।

তিনি বলেন, “এই কার্যক্রম অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা। বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।”

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং সিইজিআইএস-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান।

গোবিন্দ রায়, ডিসিসিএফ এবং প্রকল্প পরিচালক, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প স্বাগত বক্তব্য দেন। কর্মশালায় মো. আবদুল্লাহ আব্রাহাম হোসেন (ডিসিএফ, ডিপিডি, সুফল, বন বিভাগ এবং সিইজিআইএস টিম), মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (পরিচালক, রিমোট সেন্সিং বিভাগ, সিইজিআইএস), ড. নিখিল চাকমা (সহযোগী অধ্যাপক, আরইউএসটি এবং জাতীয় আর্থ-সামাজিক পরামর্শদাতা, এফএও বাংলাদেশ), রাজীব মাহমুদ (বন ইনভেন্টরি ও কার্বন মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, এফএও-বিডি) এবং জহির ইকবাল (উপ-বন সংরক্ষক, রিমস ইউনিট, বন বিভাগ) পাঁচটি কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে বন অধিদপ্তর, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, একাডেমিয়া এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন