শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে উৎসাহ দিচ্ছে—প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ক্ষোভ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবাধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোটদানে ভারত বিরত থাকায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি একে “লজ্জাজনক ও হতাশাজনক” আখ্যা দিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও নৈতিকতা বা কূটনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই।

শনিবার (১৪ জুন) এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা বলেন,

“যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোটা জাতিকে ধ্বংস করছেন, তখন ভারত কেবল নীরব সমর্থক নয়, বরং ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে— এমনকি ইরানে হামলা ও দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রেও। এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী।”

তিনি আরও বলেন,

“গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। একটি গোটা জনগোষ্ঠীকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ ভারত কোনও অবস্থান নিচ্ছে না— এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নৈতিক ব্যর্থতা।”

প্রিয়াঙ্কা এই অবস্থানকে ভারতের ঐতিহাসিক বিরোধী উপনিবেশবাদী ও অহিংস-আন্দোলনের চেতনার “করুণ পশ্চাদপসরণ” বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন:

“কীভাবে আমরা আমাদের সংবিধানের নীতিমালা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে পারি, যেগুলো শান্তি ও মানবতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিল?”

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, অতীতে ভারত আন্তর্জাতিক সংকটে বারবার ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আজকের বিভক্ত বিশ্বে ভারতের উচিত সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মানবতার পক্ষে ও সত্যের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো।

গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় “অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির” আহ্বানে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এতে ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৯টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, ১২টি দেশ বিপক্ষে এবং ১৯টি দেশ— যার মধ্যে ভারতও রয়েছে— ভোটদানে বিরত থাকে।

প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পূর্বেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। গত বছর সংসদ অধিবেশনে তাকে এমন একটি ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় যাতে লেখা ছিল “Palestine” এবং তাতে ছিল তরমুজ চিত্র— যা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ও সংহতির বৈশ্বিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন