শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের ‘পুশ ইন’ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান রিজভীর

নয়াপল্টন, ১১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে ‘পুশ ইন’ ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “দেশের নিজস্ব নাগরিকদের ‘বিদেশি’ আখ্যা দিয়ে ভারত তাদের জোর করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের অপমানজনক ও অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রয়োজনে প্রতিরোধও গড়ে তোলা হবে।”

বুধবার (১১ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সমসাময়িক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইস্যুতে কথা বলেন রিজভী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ‘পুশ ইন’ কার্যক্রমকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এটি কোনো বন্ধুসুলভ আচরণ নয়। বরং এটি একটি দমনমূলক ও আগ্রাসী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।”

তিনি বলেন, “ভারত সীমান্তে বারবার বাংলাদেশিদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে দাবি করে, অথচ এ দেশের নাগরিকদের তথ্য যাচাই ছাড়া দিনের পর দিন পুশ ইন করছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।”

রিজভীর অভিযোগ, ভারতের পক্ষ থেকে পুশ ইন নীতির ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর জননিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সামাজিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ইস্যুতে সরকারের নীরবতা এবং কূটনৈতিক ব্যর্থতারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, “সরকারের উচিত এই ইস্যুতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া। প্রতিবেশী সম্পর্ক বজায় রাখার নামে যদি জাতীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, তবে সেটি আর কূটনীতি নয়, আত্মসমর্পণ।”

রিজভী আরও বলেন, “বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অপমানজনক আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, কিন্তু প্রয়োজনে গণপ্রতিরোধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে।”

এ সময় তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক রাজনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা এবং দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় আরও সক্রিয় কূটনৈতিক কণ্ঠস্বরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

সভায় করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন রিজভী। তবে তার বক্তব্যে সবচেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসে ভারতের ‘পুশ ইন’ নীতির বিরুদ্ধে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন