শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো মুবিনের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৮ জুলাই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টি হারানো কিশোর মুবিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুবিন পেশায় একজন কম্পিউটার অপারেটর। গত ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে তিনি পুলিশের গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হন। ছোড়া গুলি তার বাম চোখে ঢুকে ডান চোখের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি ভিশন আই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একাধিক অপারেশনের পরও তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি।

পিতৃহীন মুবিন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার চিকিৎসায় ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে, তবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তিনি বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় তার পরিবার গণমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করে।

এই খবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এলে, সোমবার (৯ জুন) তার নির্দেশে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম মুবিনের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা গণতন্ত্র রক্ষায় রাস্তায় নেমেছিল, তাদের এমন দুরবস্থায় ফেলে রাখা মানবিকতা ও নৈতিকতা বিরোধী।”

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে যেভাবে গত ১৬ বছর ধরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, ঠিক তেমনই এখন আহতদের নিয়েও চলছে অবহেলা। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করে সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিয়ে এপ্রিলের মতো এক অনুপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে চাচ্ছে, যা জনগণের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা— উভয়ের পরিপন্থী।”

বিএনপির এই নেতার সফরকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং মুবিনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন