শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রেকছনা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, স্বামী গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তি নিয়েছে পিবিআই যশোর

স্টাফ রিপোর্টার | যশোর, ৩০ মে ২০২৫:

ঝিনাইদহের রেকছনা খাতুন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই মাস পর তার স্বামী মো. রাকিব হোসেন ওরফে সিজারকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার ধানহাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রেকছনা খাতুন (৪০) প্রায় পাঁচ বছর আগে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাকিব হোসেন ওরফে সিজারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল।

গত ১০ মার্চ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে পারিবারিক বিরোধের জেরে রাকিব হোসেন স্ত্রী রেকছনার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেকছনাকে কুপিয়ে হত্যা করে সে ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর নিহতের বাবা ছানোয়ার মণ্ডল বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-০৭, তারিখ: ১০/০৩/২০২৫, ধারা: ৩০২ পেনাল কোড) দায়ের করেন।

অভিযান ও গ্রেফতার

পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং যশোর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবার নির্দেশনায় অনুসন্ধান শুরু করে পিবিআই যশোর। তদন্তে নেতৃত্ব দেন পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রিপন কুমার সরকার এবং তার সঙ্গে ছিলেন এসআই (নিঃ) রতন মিয়া ও এসআই (নিঃ) রেজোয়ান।

পলাতক আসামিকে ধরতে এর আগে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে গত ২৯ মে রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মাসেতু উত্তর থানার দক্ষিণ মেদিনী মণ্ডল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পদ্মাসেতু উত্তর থানা পুলিশের সহায়তায় রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তি

পরে ২৯ মে তাকে চৌগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, বিচারক মাহবুবা শারমিনের আদালতে রাকিব হোসেন স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পিবিআই জানায়, রাকিব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল এবং নিজের অবস্থান আড়াল করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছিল।

পিবিআই যশোর জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন