মর্যাদার প্রকৃত মাপকাঠি
- প্রান্তকাল ডেস্ক
- মে ১, ২০২৫
“নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় করে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন ও খবর রাখেন।” (আল হুজরাত-১৩) অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশী মুত্তাকী তিনিই সবচেয়ে বেশী সম্মানিত ও মর্যাদাবান। সুতরাং মর্যাদার মাপকাঠি হলো,“তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়”।
পৃথিবীর অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ন্যায় মুসলমানগণ যেদিন থেকে তাকওয়াকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মানুষের মর্যাদা দিতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে তাদের কপাল পুড়তে শুরু করেছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া ‘বুনিয়ানুম মারচুচ’ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’-এর ফাটল বা ভাঙন সেখান থেকেই শুরু হয়েছে। বিজাতীয়দের ন্যায় মুসলমানদের মধ্যে আজ খান্দান, গোত্র ও গোষ্ঠীগত বিভেদের পাহাড় পরিলক্ষিত হয়। আর এরই ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যেও অহংকার, ঘৃণা, তাচ্ছিল্য, বিদ্বেষ ও অবমাননা এবং জুলুম ও নির্যাতন দানা বেধে উঠেছে। অথচ এটি ছিল ইহুদী-খ্রীষ্টান ও পৌত্তলিকদের চরিত্র। জাতীয়তার ভিত্তিতে ইহুদীরা মনে করেছে তারাই আল্লাহর মনোনীত সৃষ্টি। এজন্য পৃথিবীর সকল অইসরাঈলীরা অধিকার ও মর্যাদার দিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের। পক্ষান্তরে খ্রীষ্টানেরা বলেছে ঈশা আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ), সুতরাং তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ট জাতি। হিন্দু জাতি পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী থেকে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠতর মনে করা ছাড়াও খোদ নিজেদের মধ্যেই অসংখ্য কঠিন ভেদনীতি চালু করে রেখেছে। তারা বর্ণাশ্রমের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং শুদ্রদের লাঞ্ছনার গভীর খাদে নিক্ষেপ করেছে। তাদের ঘরে অন্য ধর্মের কেউ ঢুকে পড়লে সেটিকে ধুয়ে-মুছে পবিত্র করে থাকে। এরাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদার গণতন্ত্র ও কট্রর সমাজনীতি শ্রেণী সংগ্রামের আগুন জ্বালিয়েছে, সাদা-কালো বর্ণবাদনীতি অসংখ্য বণী আদমের রক্ত ঝড়িয়েছে, আদিবাসী-অ-আদিবাসীর উচ্ছেদের সংগ্রাম তো চলছেই।
আমাদের ভালো করে মনে রাখা প্রয়োজন, খান্দান, বংশ, গোত্র ও গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তা এগুলো অহংকারেরও হোতা। আরও মনে রাখা প্রয়োজন, পৃথিবীর সর্বপ্রথম যে গুনাহের খাতায় নাম লিখিয়েছিল সে হলো, শয়তান এবং প্রথম যে গুনাহটি আল্লাহর হুকুমকে মানতে অবাধ্য করেছিল সেটি হলো অহংকার। আর অহংকার সৃষ্টি হয়েছিল জন্মগত শেষ্ঠত্বকে ভর করে। সুরা বাকারায় আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি ফিরিশতাদেরকে বলেছিলাম ঃ আদমকে সেজদা কর। সকলেই সেজদা করলো। কেবল ইবলিশ করলো না। সে অস্বীকার ও অহংকার করলো। সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।” অন্যত্র বলা হয়েছে ঃ সে বললো, আমি আগুনের তৈরী আর আদম মাটির তৈরী। অর্থাৎ তার মধ্যে বর্ণবাদের অহংকার ও বিদ্বেষ দানা বেঁধে উঠেছিল। ফলে সে-ই পৃথিবীর প্রথম নিকৃষ্ট কীট, যে আল্লাহর আদেশকে অমান্য করলো এবং তাঁর লানত নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে বেঁচে থাকতে হবে।
কিন্তু ইসলাম এসব নীতিকে কখনোই সমর্থন করে না। মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বুনিয়াদ হলো, ‘তাকওয়া’। জন্মগতভাবে সকল মানুষ সমান। কেননা তাদের মুল উৎস এক। একমাত্র পুরুষ এবং একমাত্র নারী থেকে গোটা জাতি অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা এক, তাদের সৃষ্টির উপাদান ও নিয়ম-পদ্ধতি এক এবং তাদের সবার বংশধারা একই পিতামাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। সুতরাং মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন সেটি দেখার বিষয় নয়। বরং যে মুল জিনিসের ভিত্তিতে একজন অপর জনের ওপর মর্যাদা লাভ করতে পারে তা হচ্ছে এই যে, সে অন্য সবার তুলনায় অধিক আল্লাহ ভীরু, মন্দ ও অকল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী এবং নেকী ও পবিত্রতার পথ অনুগমনকারী। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় কা’বা তাওয়াফের পর বক্তৃতা করেছিলেন তাতে তিনি বলেন ঃ “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি তোমাদের থেকে জাহিলিয়াতের দোষ-ত্রুটি ও অহংকার দূর করে দিয়েছেন। হে লোকেরা! সমস্ত মানুষ দু-ভাগে বিভক্ত। এক, নেক আমলদার ও পরহেযগার-যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদার অধিকারী। দুই, পাপী ও দুরাচার যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট। অন্যথায় সমস্ত মানুষই আদমের সন্তান। আর আদম মাটির সৃষ্টি।” (তিরমিযি) অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছেঃ “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা-আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন।” (মুসলিম, ইবনে মাযাহ)
ইসলাম সাম্য-সংহতির অনুপম শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রে নয়, বরং মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় জীবনসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাস্তবায়ন করেছে। আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদীনা নামক ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক সমাজ কায়েম করেছিলেন, যেখানে বর্ণ, বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার কোন ভেদাভেদ ছিলনা, যেখানে উচ্চ নীচ, ছুত-ছাত এবং বিভেদ ও পক্ষপাতিত্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সে সমাজ ব্যবস্থায় হযরত বেলাল রা: এবং হযরত ওমর রা: এর মধ্যে যেমন কোন পার্থক্য ছিল না, তেমনি আলী রা: ও আনাস-যায়েদ ইবনে সাবেত রা: মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। থাকলেও সেটি তাকওয়ার ভিত্তিতেই নিরূপিত হতো। একবার হযরত ওমর রা: বেলালকে রা: ধমক দিয়ে কথা বললে রাসুল সা: অসন্তুষ্ট হন এবং বললেন, ওমর হে! তোমার কি এখনো বংশীয় গৌরব রয়েছে ? ওমর রা: লজ্জিত হলেন। তিনি নিজের সকল আভিজাত্যের অহংবোধকে ধ্বংস করে দেন। মানবিক সাম্য ও ঐক্য সে সমাজকে এমনি ফুলে-ফলে সুশোভিত করেছিল, যা পৃথিবীর আর কোন ধর্ম বা ব্যবস্থায় সামান্যতমও পরিলক্ষিত হয় না। এ ভাবটিই কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যে এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেনঃ
“সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শুন এক মিলনের বাঁশি।
এক জনে দিলে ব্যথা
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের অসম্মান নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান।”——(কুলি-মজুর, সাম্যবাদী, নজরুল রচনাবলী)
প্রকৃত পক্ষে আমরা মুত্তাকী হতে পারছি না বিধায় ইহুদী-খ্রীষ্টানদের ন্যায় বিকল্প পথে মর্যাদার সন্ধান করে ফিরছি। আর এজন্য আমরাও বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছি। এ নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যেই আমাদের সামজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। এ নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে নিয়ে যেতে পারছি না বিধায় উন্নয়নের বাঁধাগুলোও টপকানো আমাদের জন্য দুস্কর হয়েছে। ফলে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ইহুদী- খ্রীষ্টানদের আজ্ঞাবহ সাজতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ তাকওয়ার মত মানবীয় উন্নতর গুণের অধিকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের ভান্ডার সংরক্ষিত রয়েছে বলে আল কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। সত্যিই মুসলিম দেশসমুহের ভৌগলিক ও কৌশলগত অবস্থান অধিকতর এমন উত্তম স্থানে রয়েছে যে, প্রতিটি মুসলিম দেশের মাটির নিচে আল্লাহ তা’আলা অফুরন্ত নিয়ামতের ভান্ডার মজুত করে রেখেছেন। আমাদের গোলামী ও পরাজিত মানসিকতার কারনে আল্লাহ দান করছেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের বর্তমান মুসলিম দেশসমুহের সরকার প্রধানগণ আল্লাহর ভয়ের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-খ্রীষ্টানগোষ্ঠীকেই বেশী ভয় করেন। এজন্যই আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “লোকালয়ের মানুষগুলো যদি ঈমান আনতো ও তাক্ওয়া বা ভয় করতো তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং তাদের কর্মকান্ডের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম।” (সুরা আরাফ-৯৬)
দুনিয়ার জীবনে উচ্চ-নীচের যে মানদ- তৈরী করা হয়েছে এগুলো আল্লাহর কাছে গুরুত্বহীন। আমরা দুনিয়াতে যাকে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন সাব্যস্ত করেছি, আল্লাহর কাছে সে একেবারেই মূল্যহীন পক্ষান্তরে দুনিয়াতে যাকে আমরা নীচ, উচ্ছিষ্ট্য ও হেয় প্রতিপন্ন করে রেখেছি কিন্তু আল্লাহর কাছে সে সম্মানীত ও মর্যাদাসম্পন্ন বান্দা হিসাবে গণ্য হবেন। তাকওয়ার ভিত্তিতে চরিত্র সংশোধনকারীই মূলত: মর্যাদাশীল ব্যক্তি। কারণ তাকওয়া এমন একটা শক্তি, এমন একটা গুণ, যার উপর ভিত্তি করে মানুষ হক ও বাতিল, ভুল ও সঠিক, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য রেখা টানতে পারে। যিনি শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে সেটিকেই সত্য হিসেবে মেনে নেন যা তিনি নাযিল করেছেন। তিনি সেটিকেই সঠিক মনে করেন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। যে কাজ বা প্রথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরো অসংখ্য ক্ষতির সৃষ্টি করে, যে সকল কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। এ ধরণের ক্ষতিকর কাজ থেকে আত্মরক্ষাকারীই মুলত: মর্যাদশীল ব্যক্তি।
লেখক: জাফর আহমাদ, গবেষক, ইসলামী চিন্তাবিদ।
এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামেই নারীর প্রকৃত নিরাপত্তা: বৈশ্বিক সংকটে একমাত্র কার্যকর ও ন্যায়নিষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা
বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় নারীর নিরাপত্তা এক গুরুতর সামাজিক ও…
যুবকদের হৃদয়ে শান্তির দীপ্তি: সমস্যায় জর্জরিত সময়ে ইসলামের দিশা
– তরুণদের জন্য বিশেষ নিবন্ধ এই সময়ের তরুণরা…
কুরবানির হাটে দাওয়াত: বেপারীদের ঈমানী জাগরণে আমাদের দায়িত্ব
ইসলামী জীবন | দৈনিক প্রান্তকাল তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি…
ইসলামে হিংসা: একটি আত্মিক ব্যাধির গভীর বিশ্লেষণ
ইসলামের মূল ভিত্তি শান্তি, ন্যায়বিচার ও আত্মিক পরিশুদ্ধি।…
গিবত: একটি মারাত্মক নৈতিক ব্যাধি
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ…
সর্বশেষ খবর
2.
ট্রাইব্যুনালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা জেড আই খান পান্নার
- ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
3.
ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, তবে প্রয়োজন হলে প্রস্তুত: পুতিন
- ডিসেম্বর ৩, ২০২৫
জনপ্রিয় বিভাগ সমূহ
আরও পড়ুন
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দাবির পোস্টে শিক্ষকের হুমকি—সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে ঘোষিত একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির পোস্ট অফিসিয়াল গ্রুপে শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি বিভাগের এক…
বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যেকোনো ব্যক্তির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল…
এলপিজির দাম বাড়বে নাকি কমবে—বিইআরসির সিদ্ধান্ত আজ
বেসরকারি খাতে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির নতুন মূল্যহার আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সৌদি আরামকোর…
কমান্ড পোস্টে গিয়ে পোকরোভস্ক দখলের খবর শোনেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার দেশটির একটি সামরিক কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা তাঁকে জানান, রুশ…
সারা দেশের আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও নিয়োগ
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের আরও ৭৭টি উপজেলায় নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দিয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আটটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের…
আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল হবে: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, কোনো…
খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় নরেন্দ্র মোদির বার্তা
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার তাঁর ভেরিফায়েড এক্স…
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকায় আরেক মামলা, তদন্তের নির্দেশ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আলোচিত বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার ঢাকার…
