শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, উচ্চতর গ্রেডে সহজপ্রাপ্তি এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৬ মে) থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, “আমরা ৫ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মবিরতি পালন করে আসছি—প্রথমে এক ঘণ্টা, পরে দুই ঘণ্টা, এরপর অর্ধদিবস এবং আগামীকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকরা ঢাকায় একাধিকবার সমাবেশ করেন। কিন্তু কনসালটেশন কমিটি তাদের পদকে অ্যান্ট্রি পদ হিসেবে গণ্য করে ১২তম গ্রেডের সুপারিশ করে। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে এবার ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন।

তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো—

১. সহকারী শিক্ষক পদকে অ্যান্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার।

২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করা।

৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা এবং দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, যেখানে প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে রয়েছেন।

এই কর্মসূচির ফলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন