শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সিআইডির জালে এক চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

সংঘবদ্ধ প্রতারণার মাধ্যমে নিজেদের গার্মেন্টস এক্সেসরিজ বিক্রির স্বার্থে অন্য ব্যবসায়ীদের ঠকানো চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগের একটি চৌকস দল, এলআইসি ইউনিটের সহযোগিতায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর বড়বাগ এলাকা থেকে মো. আতিকুল্লাহ (৪৮) নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।

তিনি হাতিরঝিল থানার মামলা নং ০৫ (তারিখ: ০৮/০৭/২০২০), ধারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ দণ্ডবিধি-এর তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি।

সিআইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভুক্তভোগী এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে চক্রটি প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। তারা প্রথমে পোশাক তৈরির অর্ডার দেয় এবং দাবি করে যে, ‘মাস্টার এলসি’ (Letter of Credit) শিগগিরই ইস্যু করা হবে। কিন্তু এক ধাপ এগিয়ে প্রতারকরা শর্ত জুড়ে দেয়— অর্ডার কার্যকর করতে হলে তাদের সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এক্সেসরিজ কিনতে হবে।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী নিজের বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে সম্মতি দেন এবং নিজ অর্থে এক্সেসরিজ ক্রয় করেন। কিন্তু পোশাক তৈরি শেষে ডেলিভারি দিতে গেলে ক্রেতারা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়।

তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, ওই এক্সেসরিজ ও কাপড় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে প্রতারক চক্রের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি। একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে তারা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ২,৪০,৪৫৪ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৪ লক্ষাধিক টাকা) আত্মসাৎ করে।

ইতিমধ্যে মামলায় এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আতিকুল্লাহসহ অন্যদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলাটির তদন্ত ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ ইউনিট পরিচালনা করছে। অপরাধে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন,

“সংঘবদ্ধ প্রতারণার এই কৌশল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক ব্যবহার করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমরা চক্রটির সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন