শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

হিজলায় মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশের ব্যাপক অভিযান : অবৈধ জাল ও ইলিশ জব্দ, তিনজন গ্রেফতার

বাংলাদেশ নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিশেষ আভিযানিক টিম ও বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ যৌথভাবে সোমবার (২০ অক্টোবর) দিনব্যাপী বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে।

অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে সরকার ঘোষিত “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫” এর অংশ হিসেবে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে ৮ লাখ ২৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল ও ১৮০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ৭টি নৌকা উদ্ধার, ২৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ৩ জন অপরাধী গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জব্দকৃত জাল ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করা হয় এবং মাছগুলো স্থানীয় গরিব, অসহায় ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

অভিযানে অংশগ্রহণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফাইন্যান্স) মাসুমা আক্তার, বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার এস. এম. নাজমুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল পিপিএম (বার), মো. ইমরান হোসেন মোল্লা পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল/পটুয়াখালী জোন) সোহেল মিয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রকিউরমেন্ট) এবং নৌ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও ফোর্স।

একই দিনে হিজলা ও কালীগঞ্জ নৌ ফাঁড়ি, অস্থায়ী ক্যাম্পসমূহ এবং নৌ পুলিশের স্থানীয় ইউনিটগুলোও তাদের অভিযান জোরদারভাবে অব্যাহত রাখে।

অভিযানের অংশ হিসেবে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ জাল ফেলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়।

জনসচেতনতা ও প্রচারণা

সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশ নৌ পুলিশ জানায়, ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে “মা ইলিশ রক্ষা অভিযান” সফল করা। এজন্য নৌ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট দিন-রাত সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে কাজ করছে এবং স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন