শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেই কাজ শেষ নয়, এটিকে আরও দূর এগিয়ে নিতে হবে’ — প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেই দায়িত্ব শেষ নয়; বরং এটিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, এই সনদের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই সনদ নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি কেবল একটি প্রতিশ্রুতি নয়, বরং রাজনৈতিক ঐক্য ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ভিত্তি।”

ড. ইউনূস জানান, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর হবে। তিনি বলেন, “সনদের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং পারস্পরিক আস্থার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও গতিশীল করবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং এবি পার্টির শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এছাড়া বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

বৈঠকে আলোচকরা বলেন, জুলাই সনদ দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের পথনকশা হিসেবে কাজ করবে। এটি রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচনী আস্থা পুনর্গঠন এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। সনদটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল লক্ষ্য — সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার — বাস্তবে রূপ পাবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন