বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দুই বছর পর পিবিআইয়ের তদন্তে মূল রহস্য উদ্ঘাটন

শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

নারায়ণগঞ্জে দুই বছর আগে সংঘটিত গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০) হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে নিহতের স্বামী মো. শহীদুল্লাহ (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই, যিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

ঘটনাপ্রবাহ

২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর বুধবার ফতুল্লা থানার কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকায় আনিসুর রহমানের টিনশেড বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন সুমা আক্তার। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নিহতের মা সাজেদা খাতুন ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–১৬, তাং–০৮/১১/২০২৩, ধারা–৩০২/৩৪)।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিহতের ছোট বোন সোহানা আক্তার (২৮) কে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছিল।

পিবিআইয়ের তদন্ত ও গ্রেপ্তার

২০২৪ সালের আগস্টে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হলে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে সোহানা আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। জামিনে মুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫)।

তার জবানবন্দির ভিত্তিতে মূল আসামি শহীদুল্লাহকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফতুল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় (২৫ সেপ্টেম্বর ভোররাত ২:৩০ টায়)।

আদালতে স্বীকারোক্তি

গ্রেপ্তারের পর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল্লাহ স্বীকার করেন, শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওইদিনই (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

তদন্ত চলমান

পিবিআই জানিয়েছে, মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মো. রিয়াজ উদ্দিন রনি জানান, “স্বামী-শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আদালতে উভয়ের জবানবন্দি হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন