বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

গুম প্রতিরোধে নতুন আইন আসছে, তিনটি স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত

গুম প্রতিরোধ ও বিচার নিশ্চিতে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গুম প্রতিরোধে খসড়া অধ্যাদেশে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গুম-সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম-সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হবে। ভুক্তভোগী, সাক্ষী ও তথ্যদাতার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করাও খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন, আইন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে খসড়াটি পরিমার্জন করা হয়েছে বলে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন।

তিন স্থলবন্দর বন্ধ, একটির কার্যক্রম স্থগিত

একই বৈঠকে দেশের তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ এবং একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ ও রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে।

প্রেস সচিব জানান, অনেক স্থলবন্দর রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পেলেও বাস্তবে সেখানে প্রত্যাশিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম গড়ে ওঠেনি। ফলে এগুলো সরকারের জন্য অকার্যকর হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অপ্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যয় সৃষ্টি করছে। বর্তমানে কার্যক্রমহীন আরও চারটি স্থলবন্দরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১৭ অক্টোবর লালন সাঁইয়ের ‘তিরোধান দিবস’কে জাতীয়ভাবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন