বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

সাদাপাথরে পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসকের

‘আর একটি পাথরও যদি সরানো হয়, জীবন অতিষ্ঠ করে দেব। বাংলাদেশ সীমান্তের যেখানেই পাথর সরানোর চেষ্টা হবে, সেখান থেকেই অপরাধীদের ধরে আনা হবে।’— এভাবেই পাথরখেকোদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র তার আগের সৌন্দর্যে ফিরে আসবে।

ডিসি জানান, তিনটি দিককে সামনে রেখে প্রশাসন কাজ করছে—

  1. লুণ্ঠিত পাথর পুনঃস্থাপন
  2. লুটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
  3. ভবিষ্যতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা

তিনি বলেন, “আর যাতে সিলেটের পাথর লুট হতে না পারে বা বাইরে যেতে না পারে, সে জন্য আমরা আরও কঠোর নজরদারি চালাব। লুণ্ঠিত পাথরগুলো খুঁজে বের করে পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই সাদাপাথর আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।”

সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর দায়িত্ব নেন মো. সারওয়ার আলম। দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী তাকে স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে সিলেটের সংরক্ষিত এলাকা, পর্যটনকেন্দ্র ও কোয়ারি থেকে বালু–পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সাদাপাথরে গণলুট দেশ–বিদেশে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সাবেক ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয় এবং তার জায়গায় মো. সারওয়ার আলমকে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন