বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে আদালতের রায় উপেক্ষা — ডিআইএ’র তদন্তে প্রশ্ন

মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিষয়ে একাধিক আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) সম্প্রতি একটি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। গত ৩০ জুলাই এ প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর প্রেরণ করা হয়।

ডিআইএ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গভর্নিং বডির সদস্য সচিব তথা তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তার নেতৃত্বে পরিচালিত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি।

তবে নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ মে ডিআইএ’র রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক এ.বি.এম. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পত্র জারি করা হয়। এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন নং ৬২৩৩/২০১৮ দায়ের করলে হাইকোর্ট ১৬ মে চার সপ্তাহের জন্য উক্ত পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করে। পরবর্তীতে ২৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত পত্রসহ আরও একটি পত্রের কার্যকারিতা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে।

স্থগিতাদেশ চলাকালীন গভর্নিং বডি গঠন ও অধ্যক্ষ নিয়োগ সম্পন্ন হয়। সরকারপক্ষের আপিল শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিটের মেরিট না থাকায় আপিল খারিজ করে দেয়। এর ফলে এ.বি.এম. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয় এবং তিনি বৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যক্ষ এ.বি.এম. আব্দুস সালাম জানান, “ডিআইএ’র রিপোর্টের কোথাও আমার নিয়োগকে অবৈধ বলা হয়নি। আমি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করি এবং গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ অধ্যক্ষ পদে যোগদান করি। সভাপতির মাধ্যমে আমার নিয়োগ ও যোগদান সম্পন্ন হয়, যা আইনসিদ্ধ।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তদন্তে তার নিয়োগসংক্রান্ত কাগজপত্র নেওয়া হলেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কোনো নথি চাওয়া হয়নি। অভিযোগকারীরা কোর্টের রায় ও মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট গোপন করেছেন।

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি বলে জানা গেছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন