শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দিয়াবাড়িতে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ২৭

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। আহত ৭৮ জনের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়। বার্ন ও অন্যান্য বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রাতভর।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

চিকিৎসাধীন ৭৮ জন, অধিকাংশই দগ্ধ

ডা. সায়েদুর রহমান জানান, “বর্তমানে ৭৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২৮ জন এবং ঢাকা মেডিকেলে ৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। অধিকাংশের অবস্থা সংকটাপন্ন।”

তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সারারাতের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হয়নি। সিএমএইচে ১৫ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন, ঢাকা মেডিকেলে ১ জন এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জন মারা গেছেন।”

অধিকাংশ নিহত শিশু, শনাক্ত হয়নি ৭ মরদেহ

নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে একজন শিক্ষিকা এবং একজন বিমানচালক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৬টি লাশ এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে থাকা একটি দেহাবশেষ এখনও শনাক্ত হয়নি। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

বিদেশে চিকিৎসার প্রস্তুতি

আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কেস সামারি ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পর্যালোচনা করে জরুরি প্রয়োজনে কাউকে সেখানে পাঠানো হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

রক্তদাতাদের অনুরোধ

চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত রক্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আপাতত অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে ভিড় না করে প্রয়োজন হলে কেবল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”

এ ঘটনায় রাজধানীজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুরো দেশ শোকাহত। সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন