রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জামায়াতের ‘ইতিহাস গড়ার সমাবেশে’ জনশ্রুত উপস্থিতি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উপচে পড়া ভিড়


ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের সড়কজুড়ে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সংগঠনের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে এমন বৃহৎ সমাবেশ। ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।

সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মূল মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরুর আগেই উদ্যানে জনসমাগম পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ও আশপাশের জেলা থেকে মিছিল আসতে দেখা যায়। জাতীয় প্রেসক্লাব, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, পলাশী, নীলক্ষেত, রমনা ও টিএসসি এলাকা হয়ে হাজারো মানুষ সমাবেশে যোগ দেয়।

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন গুলশান জোনের একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশ করেন এবং সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “এ সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক আয়োজন নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক মোড় ঘোরানোর বার্তা।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় হাজারো নেতাকর্মী পার্শ্ববর্তী সড়ক ও এলাকায় অবস্থান নেয়। অনেকেই মোবাইলে সরাসরি সম্প্রচার দেখে সমাবেশ অনুসরণ করেন।

জামায়াতের নেতারা দাবি করেছেন, এ সমাবেশ ‘ইতিহাস গড়া’ একটি কর্মসূচি, যা অতীতে হয়নি এবং ভবিষ্যতে এমন হবে কিনা তা বলা যায় না।

জামায়াতের উত্থাপিত সাত দফা দাবি:
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ পূর্ববর্তী সকল গণহত্যার বিচার
২. রাষ্ট্রের সকল স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার
৩. ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলনের লক্ষ্যে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ভিত্তিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ এবং ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ

সার্বিকভাবে, এই সমাবেশ জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন