শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য, সংশোধন হবে সংবিধানের ধারা

জরুরি অবস্থা ঘোষণা আর একক সিদ্ধান্তে নয়—এটি যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না হয়, সেই লক্ষ্যে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো।

রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১২তম দিনে এই ঐকমত্য হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করেছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণার মেয়াদ বিদ্যমান ১২০ দিনের পরিবর্তে ৯০ দিনে সীমিত করা হবে এবং তা ঘোষণার আগে মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। বিদ্যমান সংবিধানে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দিতে পারেন।

এছাড়া, “অভ্যন্তরীণ গোলযোগ” শব্দের পরিবর্তে “রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ” উল্লেখের প্রস্তাব এসেছে।

জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকের জীবনের অধিকার এবং নির্যাতন ও অমানবিক, মর্যাদাহানিকর আচরণ থেকে রক্ষার অধিকার যেন খর্ব না হয়, সেই নিশ্চয়তার কথাও বলা হয়েছে।

সংলাপে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা দেয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক সর্বদলীয় বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেন। খেলাফত মজলিশের আহমদ আবদুল কাদের মন্ত্রিসভায় বিরোধী দলের অংশগ্রহণের দাবি তোলেন। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রীর উপস্থিতির প্রস্তাব করেন, যা বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ সমর্থন করেন। ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন বিরোধী দলীয় উপনেতার উপস্থিতির সুযোগ রাখার কথা বলেন।

অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে এবং মন্ত্রিসভার সেই বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, তার অনুপস্থিতিতে উপনেতা উপস্থিত থাকবেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন