শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জুলাই শহিদদের প্রেরণা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে অনুপ্রেরণা : তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের প্রেরণা অনুসরণ করতে পারলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব। তিনি বলেন, “যেখানে রাষ্ট্র হবে সবার এবং সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো-তে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত এ তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের অবদান জনস্মৃতিতে রাখতে এ তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব কী, তা স্মরণ করিয়ে দিতে শহিদদের আত্মত্যাগ তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাই।”

অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই কখনো বেহাত হবে না। জুলাইয়ের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চলছে এবং তা দৃশ্যমান। এ বিচার অবশ্যই গ্রহণযোগ্য করতে হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই খুনিদের বিচার সম্পন্ন হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসতে চায়। তাকে দমন করতে সকলে সোচ্চার থাকতে হবে।”

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের যে উদ্দেশ্য ছিল, তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

অনুষ্ঠানে শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান বক্তব্য রাখেন। তাঁরা তাঁদের সন্তানসহ সকল শহিদের হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। প্রিমিয়ার শোতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্বজন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রযোজনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ তথ্যচিত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, ঘটনাপ্রবাহ, ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ এবং শহিদদের আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে দুর্লভ ভিডিওচিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিতি এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্মাতাদের ভাষায়, এটি শুধু একটি তথ্যচিত্র নয়, বরং সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সফল গণঅভ্যুত্থানের গল্প জানাবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন