কানি জীবিত! ইসরায়েলি হামলায় নিহত দাবি মিথ্যা প্রমাণিত
- প্রান্তকাল ডেস্ক
- ৩৯ সেকেন্ড আগে
ইসরায়েলি হামলায় কুদস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি নিহত হয়েছেন—এমন খবর ঘুরপাক খাচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। তবে সেই দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কানি জীবিত এবং সুস্থ রয়েছেন বলে বুধবার (২৫ জুন) একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।
তেহরানে আয়োজিত এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কানিকে জনসমক্ষে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি ও জেরুজালেম পোস্টও তার উপস্থিতির ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছে।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসসহ কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে এক গোপন সামরিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ইসমাইল কানি নিহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বৈঠকে কুদস ফোর্সের অন্তত ছয়জন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে কানি অন্যতম।
তবে বুধবারের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইসমাইল কানি জনতার সামনে হাঁটছেন, কথা বলছেন এবং জাতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন। ফলে এই তথ্য নিশ্চিত হলো যে, তিনি নিহত হননি। তার এই প্রকাশ্য উপস্থিতি মূলত ইসরায়েলি দাবিকে খণ্ডন করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কানি যদি সত্যিই হামলায় নিহত হতেন, তা হলে ইরান সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে তা ঘোষণা করত। কিন্তু ইরান শুরু থেকেই এই বিষয়ে নিরবতা পালন করে এবং কোনো নিহত তালিকায় কানি’র নাম উল্লেখ করা হয়নি।
কুদস ফোর্স হলো ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) একটি অভিজাত শাখা, যা বিদেশে সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ২০২০ সালে জেনারেল কাসেম সোলেইমানি যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হওয়ার পর ইসমাইল কানি এই বাহিনীর নেতৃত্বে আসেন। সোলেইমানির উত্তরসূরি হিসেবে কানি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।
কানির জীবিত থাকার খবর ইরানে স্বস্তি ফেরালেও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার কোনো নিরসন ঘটছে না। বরং বিশ্লেষকরা বলছেন, কুদস ফোর্সের নেতৃত্বে কোনো ধস না নামায় ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের গতি আরও বিস্তৃত হতে পারে।