বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ইরানি হামলায় বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি গবেষণাগার ধ্বংস, ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত

২৫ জুন ২০২৫

ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের বিয়ারশেবা শহরে অবস্থিত বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ছয়টি গবেষণাগার পুরোপুরি ধ্বংস এবং আরও নয়টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, “বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা গবেষণার ফলাফল কয়েক মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে।” টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া গবেষণাগারগুলো মূলত চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ব্যবহৃত হতো।

বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের প্রায় ৩০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রেণীকক্ষ, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ এবং একাধিক পরীক্ষাগার ভেঙে পড়েছে বা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনো চলছে।

যুদ্ধের সূচনা ও প্রতিক্রিয়া

১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে সংঘাত শুরু করে। এরপর ইরান দ্রুত প্রতিশোধ নেয় এবং ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।

২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান তিনটি ইরানি পারমাণবিক কেন্দ্রে আঘাত হানে। ২৩ জুন ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় শিথিল উত্তেজনা

২৪ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন যে, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। একই দিন ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার কথা জানায়।

তেহরান জানায়, তারা “তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধে বাধ্য করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে বিজয় অর্জন করেছে।” যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ না করা হলেও, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

গবেষণার ক্ষতিতে বৈশ্বিক প্রভাব

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্ত গবেষণাগারগুলোতে আন্তর্জাতিক প্রকল্প চলছিল। এই হামলার ফলে বহু গবেষণা দল তাদের দীর্ঘমেয়াদি কাজ হারিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী গবেষণা কার্যক্রমেও বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি শুধু ভবন ধ্বংস নয়, এটি একটি প্রজন্মের গবেষণা ও ভবিষ্যতের ওপরও আঘাত।”