ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রধান নায়ক তারেক রহমান — রিজভী
- নিজস্ব সংবাদদাতা
- ৫ ঘণ্টা আগে
রাজি না হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছে বলেও দাবি বিএনপি নেতার
স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা | ২৫ জুন ২০২৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের পটভূমি রচনায় প্রধান নায়ক ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দলের সকল নেতাকর্মীকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে “আমরা বিএনপি পরিবার” আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জাহিদুল ইসলাম রনি। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফউদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই জামান সেলিমসহ আরও অনেকে।
রিজভী বলেন, তারেক রহমান কখনো লন্ডন থেকে সরাসরি বক্তব্য দিয়ে, কখনো দলের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এই আন্দোলনে ছাত্রদল ও বিএনপির বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণ আইন ও ন্যায়বিচারের আশা করে। এখনো কেন খুন, গুম, চুরি, ডাকাতি বেড়েই চলেছে—তা নিয়ে সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। মানুষ জানতে চায়, পুলিশ বিভাগে আস্থা ফিরছে না কেন?
গুম ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ
রিজভী দাবি করেন, “আমরা জানতে পেরেছি, বহু পুলিশ কর্মকর্তাকে গুম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা সে আদেশ মানেননি, তাঁদের নাম তালিকাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও সে সংক্রান্ত নথি পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “যাঁরা গুমে রাজি হননি, তাঁদের উচিত departmental পুরস্কার দেওয়া। কারণ তাঁরা শেখ হাসিনার হিংস্র শাসনের মধ্যেও নৈতিক অবস্থানে ছিলেন।”
বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা
পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “তদন্তে থাকা ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন—ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল। নাম প্রকাশ না করলেও তাঁরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। সম্ভবত কারো স্বার্থে বা কোনো প্রভুর নির্দেশে এটি ঘটেছিল।”
তিনি বলেন, “দেশ যে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে গড়ে উঠেছিল, সে দেশে এখন সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে বিভক্তির রাজনীতি করছে। যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ—এমন নানান আখ্যা দিয়ে জাতিকে প্রতিনিয়ত বিভাজিত করা হয়েছে।”
আইনের শাসনের দাবি ও নির্বাচনী অগ্রাধিকার
রিজভী বলেন, “৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৭৭ জন মানুষ খুন হয়েছে, নানা ঘটনার শিকার হয়েছেন। এদের কারা হত্যা করেছে—তারা যেই হোক, যেই দলের হোক, সরকারকে আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার যেন কোনো দলের রং দেখে না, দেখে অপরাধীকে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন হলে, জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। মানুষ বহু বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি—সেই আস্থার ঘাটতি পূরণ করতে হলে জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই বিষয়ে বিএনপির অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার।”
এই বিভাগের আরও খবর
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
- ৪ ঘণ্টা আগে