শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

‘আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না, এটা পরীক্ষিত’—মির্জা ফখরুল

১৮ জুন ২০২৫

বিএনপির সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নতুন সদস্য সংগ্রহে আওয়ামী লীগপন্থী কাউকে না রাখতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না—এটা পরীক্ষিত। তারা নিজের স্বার্থ ছাড়া কারও স্বার্থ দেখতে পারে না। কাজেই কোনোভাবেই তাদের দলে নেওয়া যাবে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে আহ্বান জানানো হবে।’’

ফখরুল জানান, বিএনপি আইন ভাঙা, ভোট কারচুপি বা শক্তি প্রদর্শনের পথ কখনো অনুসরণ করবে না। “আমরা বিনয়ীভাবে জনগণের কাছে ভোট চাইব। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি; আমরা এমন নির্বাচন চাই না,”—বলেন তিনি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি উল্লেখ করেন, এতে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের পথ অনুসরণ করব না; বরং সবার অধিকার রক্ষা করব।” তিনি দলের তরুণদের প্রতি নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের বয়স হয়েছে, কর্মক্ষমতা কমেছে; তাই তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে।”

তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের লন্ডন বৈঠক ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, দেশে সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে তারেক রহমান নির্বাচন-সম্বন্ধীয় তার অবস্থান নমনীয় করেছেন—যা ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ খোকন। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মো. জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমিনুল হক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান। নেতারা সরকারের ‘গায়েবি মামলা’ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘নির্যাতন’ বন্ধের জোর দাবি জানান।

বিএনপি সূত্র বলছে, চলমান সদস্য নবায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তরে ৫০ হাজারের বেশি নতুন ও পুরোনো কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন