শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তেজনা বৃদ্ধি, নিহত শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তা

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জবাবে ইরান শনিবার রাত থেকে ড্রোন হামলা শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। একইসঙ্গে তেহরানে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আইডিএফ মুখপাত্র ইফি ডেফরিন জানান, ইরান থেকে আনুমানিক ১০০টি মানববিহীন ড্রোন ইসরায়েলের দিকে পাঠানো হয়েছে। এসব ড্রোন শনাক্ত ও প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েল স্থানীয় সময় ভোররাতে তেহরান ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দেশটির পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিরাপত্তাজনিত প্রেক্ষাপটে তারা পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ সময় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

ইরানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, তেহরানে হামলায় দেশটির ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি এবং খতম-আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদ নিহত হয়েছেন।

হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত চারজন বিজ্ঞানীর মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পরমাণু শক্তি সংস্থা AEOI-এর সাবেক প্রধান ড. ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ড. মোহাম্মদ মেহেদী তেহরানচি। অপর দুই বিজ্ঞানীর পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলী শামখানিও মারা গেছেন। তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক সচিব এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন