শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি হাসিনা, চূড়ান্ত শুনানি ১৯ জুন

আদালত অবমাননার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে দেশের একটি বহুল প্রচারিত বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও তারা কেউই সশরীরে হাজির হননি এবং আইনজীবীর মাধ্যমেও কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিজ্ঞপ্তির পরও শেখ হাসিনা হাজির হননি বা কোনো আইনি ব্যাখ্যা দেননি। এখন আইন অনুযায়ী আদালত তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।”

আদালত অবমাননা প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এই মামলার পেছনে রয়েছে গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনার বিতর্কিত বক্তব্য—“আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি”— যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে বক্তব্যটির সত্যতা নিশ্চিত করে। এরপরই ৩০ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর আদালতে অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন।

ট্রাইব্যুনাল ওইদিন অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। নির্ধারিত দিনে জবাব না আসায় ২৫ মে-তে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেয় আদালত এবং ৩ জুন হাজিরার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আগামী ১৯ জুন শুনানিতে হাজিরা না দিলে কিংবা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিলে আদালত একতরফাভাবে রায় ঘোষণা করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন