শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পিলখানা বিদ্রোহ: ৪০ বিডিআর সদস্যের জামিন

ঢাকা, ১২ মে ২০২৫:
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ভয়াবহ বিদ্রোহে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় কারাবন্দী ৪০ জন আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গত ৮ মে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাৎ হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিও রয়েছেন। বিচারক সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের নথি যাচাই করে এই ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন, তবে বাকি আবেদনকারীদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ওই বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করে। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

পরে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। হাইকোর্ট থেকে ২৮৩ জন খালাস পান।

বর্তমানে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ খালাস পাওয়া ৮৩ জনের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। উভয় পক্ষের এসব মামলাও এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া, বিস্ফোরক আইনে পৃথক আরেকটি মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়, যা এখনও বিচারাধীন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিডিআর বিদ্রোহের পুনঃতদন্তের দাবি নতুন করে জোরালো হয়েছে। শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সরকার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ. ল. ম. ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন