শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ষড়যন্ত্র ও ট্যাগিং দিয়ে থামানো যাবে না: এনসিপি নেতা হাসনাতের হুঁশিয়ারি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ষড়যন্ত্র বা রাজনৈতিক ট্যাগিং করে আন্দোলন থামানো যাবে না। শনিবার (১০ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আপনি আমাদের যে কোনো বাইনারিতে ফেলে ভাগ করতে পারেন। কিন্তু এসব ভাগ করে, ষড়যন্ত্র করে ও ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

পোস্টে হাসনাত আরও জানান, “ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কোনো ধরনের ব্লকেড দেওয়া যাবে না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত ও সমাবেশ করুন। কিন্তু জনদুর্ভোগ তৈরি হয় এমন ব্লকেড থেকে বিরত থাকুন। বরং আগে থেকে দেওয়া ব্লকেডগুলোও তুলে নিন।”

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ৮ মে (বৃহস্পতিবার) রাত থেকে এনসিপির নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে হাসনাত একটি সমাবেশের ঘোষণা দেন। তবে পরে বিকাল সাড়ে ৪টায় সেই সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ মোড়ে সরাসরি অবরোধের ডাক দেন।

হাসনাতের ঘোষণার পরই বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে হাজারো নেতাকর্মী মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে এসে মূল সড়কে বসে পড়েন। মুহূর্তেই পুরো এলাকা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শান্তিপূর্ণভাবে চলা এ অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

এনসিপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলন এখন তিন দফা দাবি ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে। দাবিগুলো হলো— (১) আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে, (২) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলগত বিচারের বিধান সংযুক্ত করতে হবে, এবং (৩) ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, এই আন্দোলন কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি নয়, বরং একটি দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন। তিনি বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে কেউ যেন ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহবাগকেন্দ্রিক এই আন্দোলনের প্রতি দিন যত এগোচ্ছে, ততই এটি বড় আকার নিচ্ছে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও সার্বিক পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হয়ে উঠছে।

বিজ্ঞাপন


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন