শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলি বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইয়েমেনি হুথি বাহিনী

৩০ মে ২০২৫:

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ফের ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র বাহিনী। শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হুথি আন্দোলনের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তিনি জানান, বেন গুরিওন বিমানবন্দর এই অভিযানের সরাসরি লক্ষ্য ছিল।

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতির ঘোষণা

ইয়াহিয়া সারি বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি আমাদের ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবেই এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইয়েমেনের ওপর ইসরায়েল কোনো ধরনের আক্রমণ চালালে, তার প্রতিশোধ ভয়াবহ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ইহুদিবাদী সত্তার বিরুদ্ধে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গভীরে অভিযান চালানো হবে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব আমরা।”

কৌশলগত অবরোধ ও আন্তর্জাতিক বার্তা

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুথি বাহিনী ইতোমধ্যে বিভিন্ন কৌশলগত সামুদ্রিক রুটে অবরোধ আরোপ করেছে। এই অবরোধের উদ্দেশ্য, ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

ইয়েমেনি হুথি বাহিনী জানিয়েছে, “ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দীর্ঘস্থায়ী ও বহুমাত্রিক হবে, যতক্ষণ না গাজার ওপর থেকে নিষ্ঠুর অবরোধ ও হামলা বন্ধ হয়।”

পটভূমি

ইসরায়েল গত অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা গাজায় এ ঘটনাকে মানবিক বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে। এর জবাবে হুথি বিদ্রোহীরা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে নিজেদের অবস্থান জোরালো করে তুলছে এবং অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন