শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: তারেক রহমান

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ও বাইরে কিছু মহল ভিন্ন উদ্দেশ্যে সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশটি ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে তারেক রহমান বলেন, “সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি নতুন ভোটার এখনও একটি জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মাত্র তিন মাসেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং এই সরকারও চাইলেই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে পারে। ১০ মাস পার হয়ে গেলেও দিনক্ষণ না জানানোর অর্থ হলো জনগণের সঙ্গে খেলা।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে—এটা আমাদের স্পষ্ট দাবি। এই লক্ষ্যে দেশবাসী ও নতুন প্রজন্মকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।” তিনি বলেন, “কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কারা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করবে, তা ঠিক করবে জনগণের ভোট। সেই সুযোগ আর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে না দেওয়ার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আদালতের রায় উপেক্ষা করে ইশরাককে দায়িত্ব গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা পলাতক স্বৈরাচারের আমলের চিত্রের পুনরাবৃত্তি।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের চেয়ে বেশি জরুরি হলো মানসিকতার পরিবর্তন। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে সংস্কার করার কথা বললে সেটি ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।”

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্রকামী জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ ভাবা যাবে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নিতে চাইলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে আসুন।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা—খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন