শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সাত দফা সমঝোতাবেইজিংয়ে ত্রয়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে ঐক্যমত

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় অনানুষ্ঠানিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে অংশগ্রহণকারী তিন দেশ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এতে অংশগ্রহণ করেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইশাক দার এবং আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।

বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সমঝোতার সাতটি দফা উপস্থাপন করেন।

তিন দেশ একে অপরের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব জোরদার করবে।

চলমান সংলাপ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় কাবুলে চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক দ্রুত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত রাষ্ট্রদূত বিনিময়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। চীন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) কে আফগানিস্তানে সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক সংযোগ জোরদারে সম্মত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ।

আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত সহায়তা দেবে চীন ও পাকিস্তান।

ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়ী দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ রোধ এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাবে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “ত্রিপক্ষীয় সংলাপ কাঠামো এখন আঞ্চলিক কূটনৈতিক সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আগামী দিনগুলোতে এ কাঠামোর পরিধি আরও বিস্তৃত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের বৈঠক আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি কৌশলগত অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন