শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত: উপদেষ্টা পরিষদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ, বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে যদি কোনো চক্রের ষড়যন্ত্র বা অযৌক্তিক দাবি দাওয়ার মাধ্যমে পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়, তবে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে তার প্রেস উইং থেকে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

তিন প্রধান দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব—নির্বাচন আয়োজন, সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা—এগুলো বাস্তবায়নে নানা রকম রাজনৈতিক চাপ, অযৌক্তিক বক্তব্য এবং এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মসূচির মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক প্রশাসনিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

জনগণের প্রত্যাশা ও অভ্যুত্থানের চেতনা

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। সরকার চায়, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক, বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে যাক এবং কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হোক।”

পরাজিত শক্তি ও বিদেশি ইন্ধন নিয়ে সতর্কতা

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, “পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যদি সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, তাহলে সরকার সমস্ত বিষয় জনসমক্ষে উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হবে।”

দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে সরকার

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে যেসব রাজনৈতিক দল উদ্বেগ জানিয়েছে, তাদের বক্তব্য শোনা হবে এবং সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করবে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এবং স্বৈরাচার প্রতিহত করতে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য বলে মনে করছে উপদেষ্টা পরিষদ।

গণভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত

উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “সরকারের স্বকীয়তা, সুশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোনো প্রচেষ্টা দায়িত্ব পালনের পথ রুদ্ধ করে দেবে। তখন সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন