শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে নাক গলানো অনুচিত: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের স্পষ্ট বার্তা

সামরিক বাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হলেও রাজনীতিতে তাদের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়—এমনটাই জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না।”

তিনি সরাসরি উল্লেখ করেন, সেনাপ্রধানের ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন’ সংক্রান্ত বক্তব্যটি জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস বা আইনি এখতিয়ারের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। তার মতে, এই ধরনের বক্তব্য সামরিক বাহিনীর নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। ফয়েজ তৈয়্যব লিখেছেন, “সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তবে তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না।”

তিনি সেনাবাহিনীকে ‘গর্ব ও আস্থার প্রতীক’ উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা—সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।”

ফয়েজ তৈয়্যবের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত এবং নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য ও অবস্থান গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতি। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোচনার প্রেক্ষাপটে তার এই স্পষ্ট অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সারসংক্ষেপ:

  • সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না—ফয়েজ তৈয়্যব।
  • সেনাপ্রধানের ‘ডিসেম্বর নির্বাচন’ বক্তব্য এখতিয়ার লঙ্ঘন।
  • সেনাবাহিনীকে সম্মান দেখাতে হবে, তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অনুচিত।
  • রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান।

এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে স্পষ্টভাবে নির্ধারণে এক তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন