শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

অপ্রয়োজনীয় কল কমলে আরও দ্রুত মিলবে ৯৯৯ সেবা


তথ্যসূত্র: জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, বাংলাদেশ পুলিশ

‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’–এ অপ্রয়োজনীয় কল কমে আসার ফলে সেবার গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। দেশের নাগরিকদের জরুরি মুহূর্তে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা প্রদানকারী এই সেবা চালু হয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর। এর পর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৯৯৯ হেল্পলাইনে মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি কল গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন প্রকৃত কলার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও তথ্যসেবাসহ জরুরি সহায়তা পেয়েছেন, যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে, ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কল ছিল ব্ল্যাংক, প্র্যাংক ও মিসড কল, যেগুলোর সঙ্গে সরাসরি কোনো জরুরি সেবার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো সেবার গতি কমিয়ে দেয়, কল ওয়েটিং টাইম বাড়ায় এবং বিপদগ্রস্ত প্রকৃত কলারদের সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায়। বাংলাদেশ পুলিশের মতে, এ ধরনের কল ৯৯৯-এর কর্মীদের বিরক্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৯৯৯-এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি (টেলিকম) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর ৭০(১) ধারা অনুযায়ী, বিরক্তিকর কলের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবুও ৯৯৯ সেবা কোনো কলারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে।”

তিনি আরও জানান, “আনন্দের বিষয় হলো—৯৯৯-এর প্রতি মানুষের আস্থা এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ৯৯৯ আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর সেবা দিতে পারবে।”

সেবাটির টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আসুন, আপদে-বিপদে, আশা-নিরাশায় ৯৯৯ ব্যবহারে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। জরুরি নম্বরের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকি, সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবহারে সহায়ক হই।”


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন