শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ইশরাকের শপথ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে রাতভর অবস্থান

বিএনপির হুঁশিয়ারি— আদালতের রায় বিপক্ষে গেলে আরও কঠোর কর্মসূচি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে দ্রুত দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর কাকরাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাতে অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে এবং আদালতের রায় তাদের বিপক্ষে গেলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নেতাকর্মীরা ‘নগর ভবন অবরোধ’ থেকে সরিয়ে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু করেন কাকরাইল মোড়ে উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’-এর সামনে। এতে গুলিস্তান থেকে মগবাজারমুখী যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়।

ইশরাক হোসেনের ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, “এই আন্দোলন শুধু মেয়র পদে শপথের জন্য নয়, এটি জনগণের ভোটের মর্যাদা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর লড়াই।”

এর আগে, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ২০২৪ সালের মার্চে এক রায়ে শেখ ফজলে নূর তাপসকে পরাজিত প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। কিন্তু সেই রায় বাস্তবায়নে বিলম্ব ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে শপথ অনুষ্ঠানের পথ আটকে আছে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আদালতের রায়কে অযথা ঘুরিয়ে গণরায়ের অবমাননা করা হচ্ছে। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে শপথ নিতে না দেওয়া সংবিধান ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুরান ঢাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা বলেন, “আমরা শুধু ইশরাক ভাইকে মেয়রের দায়িত্ব দিতে বলছি না, একইসঙ্গে এই অগণতান্ত্রিক অবস্থান ও দুর্ব্যবস্থার অবসান চাই। কাকরাইলের অবস্থান এখানেই শেষ নয়।”

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, “নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে— কোনো আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু এখনও আদালতে রায় চ্যালেঞ্জ, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট বিচারাধীন রয়েছে। এসব নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।”

অন্যদিকে বিএনপি ও সমর্থকরা বলছেন, আদালতের রায় স্পষ্ট, এবং সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তা কার্যকর করছে না। তারা বলছেন, “ডিএসসিসির প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে আন্দোলনের কারণে। উপদেষ্টারা অফিস করতে পারছেন না— এটা আমরা চাইনি। কিন্তু সরকার যদি সংবিধান মানতে না চায়, তাহলে জনগণের রাস্তাই হবে তাদের জবাব।”

এদিকে আজ দুপুরে আদালতের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ আসার কথা রয়েছে, যা ইশরাকের শপথ গ্রহণ ও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

প্রান্তকাল রিপোর্টিং ডেস্ক

[www.prantokal.com] | সংবাদ পাঠাতে: news@prantokal.com


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন